বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

এখানে আরও তিনটি আয়াত উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেখানে হারাম কাজের বিবরণ দিয়ে তা অনুধাবন করতে, স্মরণ করতে সর্বোপরি তা থেকে মুক্ত থাকতে বলা হয়েছে।

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন, “হে নবী ! আপনি বলুন, এসো, আমি তোমাদেরকে ঐ সব বিষয় পাঠ করে শুনাই, যেগুলো তোমাদের প্রভূ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন। সেগুলো হল, আলল্লাহর সাথে অংশীদার করবে না, পিতা-মাতার সাথে সদয় ব্যবহার করবে অর্থাৎ তাদের অবাধ্য হবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে দারিদ্রের কারণে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই। অশ্লীলতার কাছেও যাবে না, তা প্রকাশ্যেই হোক বা গোপেনে; যাকে হত্যা করা আল্লাহ্ হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করবে না; কিন্তু ন্যায়ভাবে। তিনি তোমাদরকে এ নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা অনুধাবন কর-বুঝতে পার। ইয়াতিমরা বয়ো:প্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত উত্তম পন্থা ব্যতীত তাদের সম্পদের কাছেও যাবে না। ন্যায়ের সাথে ওজন ও মাপ পূর্ণ করবে কম-বেশী করবেনা। আমি কাউকে সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দেই না। আর যখন তোমরা কথা বলবে-বিচার করবে-হুকুম দিবে, তখন সুবিচার করবে যদিও সে আত্মীয় হয়। আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার পূর্ণ করবে-কখনও তা ভঙ্গ করবে না। তিনি তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। আর অবশ্যই এটি আমার সঠিক পথ। অতএব তোমরা এ পথ অনুসরণ করবে ,মেনে চলবে এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করবে না; তাহলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর (আল্লাহর) পথ থেকে বিচ্চিন্ন করে দিবে। তিনি তোমদেরকে এ নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন কর-সংযত হও।[56]”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন